সাংবাদিকের মেয়েকে ধর্ষণের পর হত্যা, ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন

সাংবাদিকের মেয়েকে ধর্ষণের পর হত্যা, ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন

KURINEWSBD
By -
0


 

মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৬ মার্চ ২০২৫, ০৭:৪৯ পিএম


সাংবাদিকের মেয়েকে ধর্ষণের পর হত্যা, ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় সাংবাদিকের কন্যা ৪র্থ শ্রেণির স্কুলছাত্রীকে (৯) ধর্ষণ শেষে নৃশংসভাবে হত্যা করে লম্পট ছগীর আকন (৪৫)।

ধর্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সর্বস্তরের জনসাধারণের আয়োজনে রোববার বেলা ১১টায় মঠবাড়িয়া কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারের সম্মুখ সড়কে এ কর্মসূচি পালিত হয়।

এ সময় প্রবীণ সাংবাদিক আবদুস সালাম আজাদীর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন- সাংবাদিক মিজানুর রহমান মিজু, নাজমুল আহসান কবীর, জামাল এইচ আকন, ইসমাইল হোসেন হাওলাদার, উমন চৌধুরী শিক্ষক প্রতিনিধি দোলোয়ার হোসেন, স্বেচ্ছা সেবক দল সভাপতি আসাদুজ্জামান সোহেল, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠক সাইফুল ইসলাম, রাসেল রায়হান, ছাত্রদল নেতা রুবেল আহম্মেদ, ছাত্র প্রতিনিধি অব্দুল্লাহ আল অভি ও নিহতের বাবা সাংবাদিক জুলফিকার আমীন সোহেল।

বক্তারা সিরিয়াল কিলার ছগীরকে গ্রেফতারের দাবি জানান এবং সারা দেশে ধর্ষকের পক্ষে কোনো আইনজীবীকে আদালতে না দাঁড়ানোর অনুরোধ জানান।

জানা গেছে, ২০১৭ সালের ২১ জুলাই বিকালে মেয়েটি নিখোঁজ হয়। ২৩ জুলাই বাড়ি থেকে প্রায় ৬০০ গজ দূরে পরিত্যক্ত একটি বাগানের নালার মধ্যে থেকে তার অর্ধগলিত  ভাসমান লাশ উদ্ধার করা হয়। 

এ ঘটনায় নিহত মেয়েটির বাবা উপজেলার উত্তর বড় মাছুয়া গ্রামের বাসিন্দা সাংবাদিক জুলফিকার আমীন সোহেল ২৩ জুলাই রাতে মঠবাড়িয়া থানায় অজ্ঞাত আসামির বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। পুলিশ অধিকর তদন্ত শেষে ছগীর আকনকে (৪৫) গ্রেফতার করেন এবং ছগীরকে একমাত্র আসামি হিসেবে অভিযুক্ত করে পুলিশ চার্জশিট প্রদান করেন। 

২০২২ সালের ২৩ ডিসেম্বর মঠবাড়িয়া থানায় দায়ের হওয়া তন্নী আক্তারকে জবাই করে হত্যা মামলায়ও এই ছগীরকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দেয় পুলিশ। নিহত তন্নী  সাংবাদিক সোহেলের প্রতিবেশী চাচাতো বোন। সিরিয়াল কিলার ছগীর ওই উত্তর বড় মাছুয়া গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য মৃত্যু কুদ্দুস আকনের ছেলে। ছগীর বর্তমানে উচ্চ আদালতের জামিনে রযেছে। ঊর্মি হত্যা মামলাটি আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।

Post a Comment

0Comments

Post a Comment (0)
'; (function() { var dsq = document.createElement('script'); dsq.type = 'text/javascript'; dsq.async = true; dsq.src = '//' + disqus_shortname + '.disqus.com/embed.js'; (document.getElementsByTagName('head')[0] || document.getElementsByTagName('body')[0]).appendChild(dsq); })();